ঢাকা, ৪ অক্টোবর : শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার দুপুর ২টার মধ্যে কলেজের দুটি বয়েজ হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে হল ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন শান্ত গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭-৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার বলেন, ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচালিত দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ফুরণ ও দ্যা বিটস-এর কর্মীদের মধ্যে শনিবার রাতে কথাকাটাকাটি হয়। সে সময় ওই নেতার মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে এ নিয়ে রবিবার সাকলে নেতাকর্মীরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকটি সমঝোতার পরিবর্তে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
খবর পেয়ে ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক উপসম্পাদক ডা. কাজী মাহবুব ও বুলেট সেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও শেরেবাংলা থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাসসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের হস্তক্ষেপে একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিল এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পরে দুপুর দেড়টায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে আবারও বয়েজ হোস্টেলের সামনে বৈঠকে বসে কলেজ ও হাসপতাল পরিচালনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এরপর একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলাম জানান, মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্বভাবিক করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, সাংস্কৃতিক সংঘঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন শান্ত বলেন, বিষয়টি মিটিয়ে নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।