সাফ চ্যাম্পিয়নদের আজ সৌদি পরীক্ষা

0

স্পোর্টস ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর : গত মাসে দক্ষিণ এশিয়ার অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এখন অবশ্যই দৃষ্টি যাওয়া উচিত এশিয়ার দিকে। এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরা বাংলাদেশের কাছে একটা স্বপ্ন। তা স্বপ্ন দেখতে না পারলে কি সাফল্য ধরা দেয়? এই স্বপ্ন সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই দেখতে শুরু করেছেন শাওন-নিপুরা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক ধাপ পূরণে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ এশিয়ার জায়ান্ট সৌদি আরব। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের আরেক প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই থেকে অনূর্ধ্ব-১৬ দলটিকে নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তারই ধারাবাহিকতায় গত পরশু ছুটে গেছেন টিম হোটেলে। সেখানে কিশোর ফুটবলারদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন বাফুফে বস। খেতে খেতেই এসব খুদে ফুটবলারদের নানা পরামর্শ দিয়েছেন, শুনিয়েছেন তার কিশোর জীবনের গল্প। বলেছেন, ‘নিজের মাঠে বাঘের বাচ্চার মতো খেলবে। হারজিত পরের কথা। সাহস নিয়ে খেলো। কোচ কী বলেন সেটা শোনো আর অনুসরণ করো। খেলাটা উপভোগ করো।’ এটাই টনিক হিসেবে কাজ করেছে শাওন নিপুদের মাঝে। সালাউদ্দিনের কথার সূত্র ধরেই দলটির অধিনায়ক শাওন হোসেন বলেন, স্যার (সালাউদ্দিন) আমাদের বলেছেন বয়সভিত্তিক দল ১৯-২০, তোমরা সাহস নিয়ে খেলো, দেখবা আমরাই জিতবো। আমরাও বিশ্বাস করি মাঠে সেরাটা দিতে পারলে জয় অসম্ভব না। যদিও সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও এএফসির অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব নিয়ে খুব বেশি উচ্চাশা নেই স্বাগতিক কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানির।

‘সাফ আর এএফসি টুর্নামেন্টের মধ্যে পার্থক্য অনেক। প্রতিপক্ষ হিসেবে সৌদি আরব ও আমিরাত যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের সিনিয়র টিম বিশ্বকাপে খেলে। এসব মাথায় নিয়ে টুর্নামেন্টে আমাদের চেষ্টা থাকবে মাঠে সাধ্যমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা’- বলেন এ কোচ। শিষ্যদের নিয়ে জিলানি বলেন, ছেলেরা তাদের সেরা পারফরম্যান্স শো করতে পারলে ম্যাচ জেতাটাও অসম্ভব কিছু হবে না। অনুশীলনে ছেলেদের একটাই কথা বলেছি, বুঝেশুনে খেললে সৌদি বা আমিরাতকে বিপাকে ফেলা সম্ভব।’ সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে তিনজন খেলোয়াড় এ টুর্নামেন্টে থাকছে না। বয়সের কারণে বাদ পড়েছেন সাদউদ্দিন ও খলিল ভুঁইয়া। ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান। মূল একাদশের তিনজন না থাকলেও মাঠে এর তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করেন জিলানি। ‘আমার হাতে ওদের রিপ্লেসমেন্ট আছে। আমি আগামীকাল খলিলের জায়গায় ফাহিম মোরশেদ আর আতিকুজ্জামানের জায়গায় হাসিবুলকে খেলাতে পারি। তবে শেষ অনুশীলনের পরই সাদউদ্দিনের বদলি ঠিক করার কথা জানান জিলানি। প্রতিপক্ষ সৌদি আরব হলেও নিজেদের কৌশলেই খেলার কথা জানান জিলানি। যে কৌশলে সাফ ফুটবলে খেলেছে বাংলাদেশ।

তবে সৌদি আরবের মতো প্রতিপক্ষর বিপক্ষে ৪-৪-২ কৌশল কতটুকু কাজে আসবে সে প্রশ্নের উত্তর মাঠেই পাওয়া যাবে। এদিকে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরুর পাঁচ দিনে আগে ঢাকায় এসেছে সৌদি আরব দল। ঢাকায় আসার আগে তিন মাসের প্রস্তুতির সঙ্গে দুটি টুর্নামেন্ট খেলেছে মধ্য এশিয়ার দেশটি। দুই টুর্নামেন্টের আট ম্যাচে চারটি জয়ের বিপরীতে তিনটিতে হেরেছে সৌদি আরব। এ থেকেই বোঝা যায় বাছাই পর্ব ঘিরে কতটুকু সিরিয়াস সৌদি আরব। টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও পরিষ্কার করলেন দলটির কোচ মোহাম্মদ আল আবদালি। টুর্নামেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, বয়সভিত্তিক এসব টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলের শক্তি প্রায় একই রকম। আমার মনে হয় টুর্নামেন্ট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে আমরাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারবো। উল্লেখ্য, তিন দলের এই গ্রুপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত মূল পর্বে অংশ নেবে। সুযোগ থাকবে গ্রুপ রানার্সআপের। এ কারণে একটি ম্যাচ জিততে পারলে শাওনদেরও সুযোগ থাকছে মূল পর্বে খেলার।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',