যুক্তরাষ্ট্র, ১৫ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। এ দাবিতে মহাসচিব সমীপে স্মারকলিপি প্রদানের আগে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
একইসঙ্গে সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ এবং সাবেক এমপি এম এম শাহীনের মুক্তির দাবি করা হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার অপরাহ্নে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন। বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা কাজী আজম, আবু তাহের, গিয়াসউদ্দিন, আতিকুর রহমান ফারুক, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি মাকসুদ এইচ চৌধুরী, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সেক্রেটারি রফিকুল মাওলা প্রমুখ।
অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ৫% ভোটারও কেন্দ্রে যাননি। প্রধান বিরোধীদল অংশ নেয়নি। এমন একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনে গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঠাঁই হতে পারে না জাতিসংঘে।
তিনি বলেন, আমরা মহাসচিবের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, ‘শেখ হাসিনার অপশাসনে বাংলাদেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। মিডিয়ায় বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ নেই। সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’
এ সময় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেয়, ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, খালেদার ভয় নাই’, ‘জাতিসংঘের অধিবেশনে-খুনী হাসিনার ঠাঁই নাই’, ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস-গুম খুন আর লুটপাট’ ইত্যাদি।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। এই সফরকালে বিএনপি ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির সমর্থনেই জাতিসংঘের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভের পর অধ্যাপক দেলোয়ারের নেতৃত্বে কয়েক নেতা মহাসচিবের দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এছাড়া, একইদিন সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের সম্মিলিত উদ্যোগে আরেকটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অন্যতম সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ এবং আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা এবং সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি।
এ সভা থেকেও বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ এবং সাবেক এমপি (ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি) এম এম শাহীনের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে এ দু’জন সহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিও উঠে।