যুদ্ধপরাধের মামলায় ছেলেসহ গ্রেপ্তার জাপা এমপি হান্নান

0

ঢাকা, ১ অক্টোবর : ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) এমপি এম এ হান্নানকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার ছেলেকেও আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন থেকে তাদের আটক করে বনানী থানার পুলিশ। পরে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুরে গুলশানের বাসা থেকে এমপি হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে তার ছেলেকেও আটক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। এরপর ঢাকা থেকে এমপি হান্নান ও তার ছেলেকে এবং ময়মনসিংহ থেকে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহে গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে ত্রিশালের উপজেলার বৈলর এলাকা থেকে হরমুজ আলী ও ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকার বাসা থেকে মিজানুর রহমান এবং কলেজ রোড মোড় থেকে ডা. গোলাম সাব্বির আহমদকে গ্রেফতার করা হয়।

বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল।  ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হলেন-  বিচারপতি শাহিনূর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ারদী।

তাপস কান্তি  জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণ-লুটসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত ১৯ মে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানকে হত্যার অভিযোগ এনে এম এ হান্নানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ময়মনসিংহের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৭০)। বিচারক আহসান হাবীব বাদীর জবানবন্দি শেষে মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৯ আগস্ট বিকালে ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মুন্সীপাড়ার ওসমান আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানকে এম এ হান্নান ও তার সহযোগীরা পাশের গৌরীপুর থানার ভাংনামারীর চর থেকে ধরে আনেন। পরে ময়মনসিংহের নতুন বাজারে তার বাসার টর্চার সেলে আবদুর রহমানের চোখ উপড়ে ফেলে, হাত ভেঙে দিয়ে হান্নান নিজে গুলি করে হত্যা করেন। হত্যার পর তার বাড়িতে গিয়ে লুটপাট-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',