স্পোর্টস ডেস্ক, ৯ অক্টোবর : বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল হেরে গেছে। ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। আর চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোরে সান্তিয়াগোর মাঠে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের মধ্যকার খেলাটি হয় বুয়েনস এইরেসে। ইকুয়েডরের পক্ষে এরাজো ও সাইসেদো গোল করেন।
অন্যদিকে ব্রাজিল ও চিলির মধ্যকার খেলাটি হয় সান্তিয়াগোতে। চিলির পক্ষে গোল করেন ভারগাস ও সানচেজ।
নিয়মিত অধিনায়ক নেইমার চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকেন। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে শুরু থেকে খেলতে থাকে সেলেকাওরা। ম্যাচের প্রথম একাদশে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামেন জেফারসন, দানি আলভেজ, মিরান্ডা, ডেভিড লুইজ, মার্সেলো, গুস্তাভো, ইলিয়াস, উইলিয়ান, অস্কার, দিয়েগো কস্তা ও হাল্ক।
চিলির হয়ে ৭২তম মিনিটে গোল করেন এদোয়ার্দো ভারগাস। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে নেইমারহীন ব্রাজিলের পরাজয় নিশ্চিত করেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। ব্রাজিল আরো বড় পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো, যদি না সানচেজ ও মৌরিসিও পিনিলার দুটি শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসতো।
নেইমারহীন ব্রাজিল কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষ শিবিরে বিপদ তৈরি করলেও সেগুলো গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
অন্যদিকে নিজেদের মাঠে ইকুয়েডরের কাছে ২-০ গোলের হেরেছে আরেক ফেভারিট আর্জেন্টিনাও। খেলার একেবারে শেষ দিকে (৮১ ও ৮২ মিনিটে) দুই গোল হজম করে আলবেসিলেস্তরা। মেসি ও আগুয়েরোকে ছাড়া আর্জেন্টিনাকে ছন্নছাড়াই মনে হয়েছে এদিন।
জেরার্ডো টাটা মার্টিনো মেসিকে ছাড়া ৪-৩-৩ ফরমেশনে নিজের শিষ্যদের খেলাতে ম্যাচের শুরুর একাদশে মাঠে পাঠান রোমেরো, রোনকাগলিয়া, ইজিকুয়েল গ্যারে, অতামেন্ডি, মাস, বিগলিয়া, মাশচেরানো, জাভিয়ের পাস্তোরে, কোরেয়া, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আর সার্জিও আগুয়েরোকে।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। অ্যাঞ্জেল কোরেয়ার কাছ থেকে বল পান পিএসজি তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে প্রস্তুত ছিলেন ইকুয়েডরের চমক জাগানো গোলরক্ষক দোমিনগুয়েজ। ১১ মিনেটে আক্রমণ শানে ইকুয়েডর। অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া আর্জেন্টাইন ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মনতেরোকে। তবে তার নেওয়া শটটি গোলবারের পাশে দিয়ে জালে জড়ায়।
ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে যান সার্জিও আগুয়েরো। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ।
প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল আদায় করে নিতে পারেনি। ফলে, গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর ৫৮ মিনিটের মাথায় ইকুয়েডরের তারকা সাইসেদোর একটি শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন তারকা গোলরক্ষক রোমেরো।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে লিড নেওয়া সুযোগ আসে আর্জেন্টাইন শিবিরে। একবার নয় দুই-দুইবার সুযোগ দিয়েও ভাগ্যদেবী স্বাগতিকদের দিকে মুখ তুলে তাকাননি। কোরেয়ার থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের জাল লক্ষ্য করে শট নেন পাস্তোরে। তবে ডোমিনগুয়েজের দারুণ পারফর্মে তা প্রতিহত হয়। অতিথি দলটির এই গোলরক্ষক এক মিনিট পরেই আবারও দলকে বাঁচান। ডি মারিয়ার জোরালো শট রুখে দেন তিনি।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে লজ্জা দিয়ে গোল করেন ইকুয়েডরের এরাজো। ক্যাস্টিলোর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন তিনি। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন ইকুয়েডরের ফিলিপ সাইসেদো।