স্পোর্টস ডেস্ক, ১০ আগস্ট : ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের বিদায়ের আগেই ঢাকায় চলে এলেন সম্ভাব্য নতুন কোচ। ফাবিও লোপেজ নামের এই ইতালিয়ান কোচ গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাংলাদেশ-জর্ডান ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসেই দেখেছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আনুষ্ঠানিকভাবেই এই ইতালিয়ান কোচকে নিয়োগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ-জর্ডান ম্যাচ দেখার পর বুধবারই বাফুফে কর্মকর্তারা রাজধানীর এক হোটেলে ফাবিও লোপেজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ৪২ বছর বয়সী এই কোচ নিজেই নাকি বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে চার মাসের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই ইতালিয়ানকে।
লোপেজ ক্লাব ফুটবল খেলেছেন গোলরক্ষক হিসেবে। কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০০ সালে এস রোমার যুব অ্যাকাডেমিতে। ২০০৭ সালে লিথুনিয়ার ক্লাব এফ কে গারজদাল, ২০১১ সালে মালয়েশিয়ার সাবাহ এফএ, ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ার পিএসএমএস এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে মালদ্বীপের প্রিমিয়ার লিগের দল বিজি স্পোর্টসের হয়ে কাজ করেছেন।
উয়েফার প্রো লাইসেন্সধারী এই কোচ অবশ্য এর আগে কখনোই কোনো জাতীয় দলের কোচ ছিলেন না। এবারই প্রথম তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ৫-০ গোলে হারের পর ডি ক্রুইফের বিদায় নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। ঘরের মাঠে জর্ডানের কাছে ৪-০ গোলের হারের পর আলোচনার মাধ্যমে ডাচ কোচকে বিদায় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে।
অবশ্য গত জুনে ডি ক্রুইফের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষ হয় বাফুফের। এর পর থেকেই তিনি বাফুফের সঙ্গে কাজ করছেন টুর্নামেন্ট ভিত্তিতে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকলে কাজ করবেন নইলে দেশে গিয়ে বিশ্রাম নেবেন। শেষ পর্যন্ত এটিও আর হচ্ছে না।
২০১৩ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়া এই ডাচ কোচের অধীনে বাংলাদেশ ১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছে, ছয়টিতে ড্র এবং নয়টি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ।
ব্যর্থতার পাশাপাশি ডি ক্রুইফের কিছু আচরণেও হতাশ বাফুফে। বকেয়া বেতনের দাবিতে নেদারল্যান্ডসে গিয়ে বসে থাকাটা বাফুফে কর্মকর্তাদের পছন্দ হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা ছাড়ার আগে ক্রুইফ জানিয়েছেন, এখানে লুকোচুরি নেই। বাফুফেও আমাকে আর কোচ হিসেবে চাচ্ছে না, আমিও তাদের সঙ্গে থাকতে রাজি নই। তাই আমরা এখন থেকে আলাদা।