জয়কে অপহরণ মামলা: এফবিআই এজেন্টের ৫ বছরের জেল

0

নিউইয়র্ক, ১৫ সেপ্টেম্বর : বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক জীবন বিপন্ন এবং এক পর্যায়ে জয়কে অপহরণ ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে সহায়তার জন্যে ঘুষ গ্রহণকারী এফবিআই এর স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক (৫৩) এর ৫ বছরের জেল এবং জেল খাটার পর আরো দুই বছর তাকে কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে কাটানোর রায় দেওয়া হয়েছে।

গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের হোয়াইট প্লেইন্সে অবস্থিত ফেডারেল কোর্টের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ ভিনসেন্ট ব্রিসেটি চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ৪ মার্চ জয়ের গোপন তথ্য ফাঁস এবং জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্রের এ মামলার অপর আসামি রিজভী আহমেদ ওরফে সীজার (৩৬) কে ৪২ মাস এবং যোহানেস থেলার (৫২) কে ৩০ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে একই আদালত। মাননীয় আদালতের নির্দেশে সীজারকে গত ২০ এপ্রিল নিউজার্সির ডি. ফ্যাসিলিটি (কারাগার) এ পাঠানো হয়। একইদিন থেলারকে পাঠানো হয় কানেকটিকাটের একটি কারাগারে।

এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক কারাগারেই রয়েছেন এবং অতি সম্প্রতি আরেকটি গুরুতর অপরাধে জন্যে ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল কোর্ট তাকে ১০ বছরের দণ্ড প্রদান করেছেন। ঐ দণ্ড শেষ হওয়ার পরই এই ৫ বছরের গণনা শুরু হবে বলে সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের ইউএস এটর্নি প্রীত ভ্যারারা এনআরবি নিউজকে বলেছেন।

বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাবেক সহ-সভাপতি এবং জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের পুত্র রিজভী আহমেদ ওরফে সীজার জয়ের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ফাঁস করে তার রাজনৈতিক জীবনকে বিপন্ন করার অভিপ্রায়ে এফবিআইয়ের ঐ স্পেশাল এজেন্টকে ঘুষ প্রদানের চুক্তি করেছিল।

মামলার নথি অনুযায়ী, কানেকটিকাটের ডেনবারির অধিবাসী সীজার জয়ের সর্বনাশের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবার সাথে সাথে জয়ের ক্ষতিসাধনের পর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তথা ‘হিরো’ হতে চেয়েছিল। মামলার নথি অনুযায়ী, সীজার তার দলীয় এক শীর্ষ নেতার প্রতি মার্কিন প্রশাসনের সুদৃষ্টি আনা এবং এই নেতার বিরুদ্ধে চলমান মামলা প্রত্যাহারের জন্যেও এফবিআইয়ের ঐ এজেন্টের সাথে চুক্তি করেছিল।

জয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ফাঁসের পর যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এবং নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী এবং যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘সীজারের বাবা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন নোয়াখালীর সন্তান এবং একাত্তরে আলবদর বাহিনীতে ছিলেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত থাকলে এই মামুনকেও কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আতংক থেকেই জয়ের বিরুদ্ধে এহেন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল।’

নূরনবী কমান্ডার বলেন, জয়কে জিম্মি করে ওরা একাত্তরের ঘাতকদের মামলা থামিয়ে দেওয়ার মতলব এঁটেছিল।

উল্লেখ্য, নূরনবী এবং জাকারিয়া-উভয়েই নোয়াখালীর সন্তান।

১৪ সেপ্টেম্বর এ রায়ের তথ্য প্রকাশ উপলক্ষে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ইউএস এটর্নি প্রীত ভ্যারারা বলেছেন, লাস্টিক ঘুষের বিনিময়ে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের তথ্য বিক্রির মত জঘন্য অপকর্মের শাস্তি পেল।

প্রীত ভ্যারারা বলেছেন, এফবিআইয়ের লাখো অফিসারের বহুদিনের সততা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচারের প্রতি জনসাধারণের যে আস্থা সৃষ্টি হয়েছে, রবার্ট লাস্টিকের গুরুতর অপকর্মে তা প্রশ্নবিদ্ধ। লোভের বশবর্তী হয়ে লাস্টিক যে অপরাধ করেছে তা এফবিআইয়ের মর্যাদায় আঘাত হেনেছে।

সর্বসাধারণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে সে যে জঘন্য পথে পা বাড়িয়েছিল আজ তার পরিণতি ভোগ করতে হলো।

মামলার নথি অনুযায়ী, জয়ের ভার্জিনিয়াস্থ বাসার ঠিকানা, জন্ম তারিখ, সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, একাউন্টে কত ডলার/পাউন্ড জমা রয়েছে সেগুলোসহ লেনদেনের বিবরণী, টেলিফোন নম্বর, উচ্চতা, ওজন, বর্ণ, ক্রিমিনাল হিস্টরি (যদি কিছু থাকে) সবকিছু ফাঁস করার দায়িত্ব নেয় এফবিআইয়ের ঐ এজেন্ট। এর ফলে মার্কিন নাগরিক জয়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিপন্ন হয়ে পড়ে।

মামলার রায় প্রদানের সময় গভর্নমেন্ট’স সেনটেন্সিং মেমরেন্ডামে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, রিজভী আহমেদ সীজার জয়ের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য সংগ্রহের পর জয়ের ক্ষতি করতে চেয়েছিলো এবং শুধু তাই নয়, জয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করার মতলবে ছিল। সীজারের পরিকল্পনা ছিল ভার্জিনিয়ায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ বসবাসরত জয়কে অপহরণ করে শারীরিকভাবে আঘাত করার।

দ্বিতীয়ত: গোপন তথ্যগুলো মিডিয়ায় প্রকাশ করে জয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই শুধু নয়, আওয়ামী লীগের ইমেজকেও বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিলো সীজার। জয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নষ্ট অথবা প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিপ্রায়ে এফবিআইয়ের ঐ ঘুষখোর স্পেশাল এজেন্টের কাছে থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের কাছে সরবরাহ করেছে সীজার। এর বিনিময়ে ঐ সাংবাদিকের কাছে ৩০ হাজার ডলার নিয়েছে সীজার-এ তথ্যও রয়েছে মামলার নথিতে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষার্ধে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট লাস্টিক এফবিআইয়ের হোয়াইট প্লেইন্স আবাসিক এলাকার অফিস কম্পিউটার থেকে জয়ের গোপন তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। ব্যক্তিগত তথ্য যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজে ব্যবহৃত হয়-সে সবই ফাঁসের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এরপর একই বছরের ডিসেম্বর মাসের দিকে লাস্টিক ও থেলার রিজভীর প্রস্তাবে সম্মত হন অর্থাৎ জয়ের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য রিজভী চেয়েছে তা সরবরাহে রাজি হন। বিনিময়ে মোটা ডলার দাবি করেন। দাবি অনুযায়ী ডলার প্রদানের সম্মত হয় সীজার। তবে তা লাস্ট্কিকে সরাসরি দেবে না। সীজার তার বন্ধু থেলারের মাধ্যমে দিতে চায়।

এ সময় সীজার উল্লেখ করে যে, জয়ের সন্দেহজনক গতিবিধির গোপন তথ্যগুলো পাবার জন্যে আরো অনেকেই উদগ্রিব। তাই টাকার কোন সমস্যা হবে না। যত দরকার ততই দেওয়া হবে।

২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেলার এবং সীজার কানেকটিকাটের ডেনবারির একটি মলে মিলিত হয়। এ সময় একই অঙ্গরাজ্যের নিউ ফেয়ারফিল্ডের অধিবাসী থেলারকে এক হাজার ডলার প্রদান করে সীজার। জয়ের বিরুদ্ধে কিছু ডক্যুমেন্টও সে সময় পাওয়া যায়। সে সময়ে আরো কিছু কাজের ব্যাপারে কথা হয়। সে জন্যে আরো অর্থ প্রদানের অঙ্গিকার করে সীজার।

এদিনই থেলারের সাথে লাস্টিকের টেক্সট মেসেজ লেনদেন হয়, যেখানে জয়ের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত ডক্যুমেন্টগুলো নিয়ে সীজারের এক সহযোগী বাংলাদেশে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশে গিয়ে তাদের জন্যে আরো অর্থ সংগ্রহের ইঙ্গিত রয়েছে ঐ মেসেজে।

২০১২ সালের প্রথম দিকে আবারো থেলারের সাথে লাস্টিকের মেসেজ চালাচালিতে সীজারের কাছে অর্থ পাওয়ার বিষয়গুলো স্থান পায়। জয়ের বিরুদ্ধে আরো কিছু তথ্য প্রদান এবং সীজারের দলীয় এক নেতাকে মামলা/অভিযোগ মুক্ত করার জন্যে কতটা এগুচ্ছে তা নিয়ে তারা কথা বলেন। সবসময়েই লাস্টিক জানতে চান যে, অঙ্গিকার অনুযায়ী সীজারের কাছে ডলার আসছে কিনা।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সম্পাদিত চুক্তিতে সীজার এবং তার সহযোগী (বিএনপি নেতা) লাস্টিক ও থেলারকে এককালীন ৪০ হাজার ডলার এবং প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার করে দেওয়ার কথা।

‘বিভিন্ন তথ্য ঠিকমত পেলে আমি বিএনপিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হবো। আই উইল বি দ্য হিরো টু মাই পার্টি’-থেলারকে টেক্সট করে জানিয়েছে সীজার। জবাবে থেলার লিখেছেন, ‘উই কেন মেইক দ্যাট হ্যাপেন।’ এসব টেক্সট মেসেজের কপি থেলার প্রেরণ করেন লাস্টিকের কাছে। সে সময় সীজারের অনুরোধ উল্লেখ করে থেলার লাস্টিককে জানান যে, ‘বাংলাদেশে তার রাজনৈতিক দলের নেতা (তারেক রহমান)’র বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ক্রিমিনাল মামলা দ্রুত খারিজ অথবা ড্রপ করতে হবে।’

২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি সীজারের বাসায় লাস্টিক এবং থেলার যায়। সেখানে সীজারের সাথে ছিলো আরো ৩ জন। সে সময় আরো কিছু গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে কথা হয়-যেগুলো লাস্টিকের পক্ষে বের করা সম্ভব। তবে এ জন্যে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের কথা বলে লাস্টিক।

বেশ কিছু ডক্যুমেন্ট সরবরাহের পরও সীজার প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদানে গড়িমসি করায় লাস্টিক এবং থেলার ভেতরে ভেতরে ক্ষেপে উঠেন সীজারের প্রতি। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে লাস্টিক এবং থেলার যৌথভাবে সীজারকে অবিলম্বে ঘুষের অর্থ প্রদানের জন্যে চাপ দেন। ডলার যথাযথভাবে প্রদান না করা পর্যন্ত প্রত্যাশিত তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকার কথা জানান সীজারকে।

২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি লাস্টিক এবং থেলারের মধ্যে টেক্সট মেসেজে উল্লেখ ছিল যে, তাদেরকে পাশ কাটিয়ে অন্য আরেকজনের কাছে থেকে সীজার একই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সীজারের সহযোগী বিএনপির অন্য ৩ জন এফবিআইয়ের আরেক কর্মকর্তার শরনাপন্ন হয়েছে বলেও টেক্সট মেসেজে উল্লেখ করা হয়। এটি জেনে প্রচন্ডভাবে রেগে যান লাস্টিক। বলেন, ‘এফবিআইয়ের সাবেক এজেন্ট এটি কীভাবে করবে? আমি ব্যাপারটি দেখে নেব?’ ‘আমি এতকিছু করলাম, আর এখন অন্য লোকে ভাগ নেবে?’ এক পর্যায়ে লাস্টিক তার মেসেজে উল্লেখ করেন, ‘আমি সীজারকে খুন করবো। আমি সমস্ত তথ্য সীজারের প্রতিপক্ষকে জানিয়ে দেব।’

এর দুদিন পর অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেলারের কাছে সীজার মেসেজ পাঠায় যে, ফেডারেল প্রশাসন তথা বিচার বিভাগ থেকে প্রাপ্ত গোপন তথ্যগুলো সরবরাহের বিনিময়ে ১০ হাজার ডলার দেওয়া হবে। জবাবে থেলার জানান, ‘তোমার যা দরকার সবকিছু আমরা করতে পারি। তবে শুধু কথার ওপর ভর করে কিছুই করা সম্ভব নয়। কিছু ডলার দিলেই তুমি সবকিছু পাবে।’

মার্চের ১২ তারিখে সীজার মেসেজ পাঠায় থেলারের কাছে। অতিরিক্ত তথ্যসহ তার বাসায় গেলে চুক্তির অর্থ প্রদানের কথা বলা হয়। ঐ মেসেজে ডলারের একটি বান্ডেলের ছবিও দেয়া হয়। একইমাসে লাস্টিক এবং থেলার সীজারের কাছে প্রদত্ত সকল তথ্য এবং ডক্যুমেন্ট কেড়ে নেন। ঘুষের অর্থ না পাওয়ায় তারা এ আচরণ করেন সীজারের সাথে।

এছাড়া, বিএনপির নেতাকে মামলা মুক্ত করার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল সেটিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে। এ অবস্থায় সীজার প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর নিয়োগ করে ঐসব তথ্য সংগ্রহের জন্যে। জয়ের বিরুদ্ধে আরো কিছু তথ্য ও ডক্যুমেন্টের জন্যে মরিয়া হয়ে উঠে সীজার। সে সময় বিচার বিভাগের একজন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সীজার স্বীকার করে যে, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরে ৪ হাজার ডলার দিয়েছে। এজন্যে প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের সহায়তা চেয়েছে জয়কে ভীতি প্রদর্শন, অপহরণ  এবং জয়ের ক্ষতি করার জন্যে।

মামলার নথিতে আরো দেখা গেছে যে, জয়ের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশের একজন সাংবাদিক, বিএনপির একজন বন্ধু এবং একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরকে প্রদান করেছে সীজার। এর বিনিময়ে সীজার পেয়েছে ৩০ হাজার ডলার।

সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের ইউএস এটর্নি প্রিত ভ্যারারার অফিস থেকে  আরো জানানো হয়, গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেলার ও রিজভী দোষ স্বীকার করেন। এর আগে লাস্টিকসহ এ দু’জনকে ২০১৩ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',