নিউ ইয়র্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় দুই চ্যালেঞ্চ হচ্ছে- সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ৭০ বছর ধরে মানব সমপ্রদায়ের আশা-আঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে রয়েছ। আর এই একই লক্ষ্যে বাংলাদেশও কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি নিজে সন্ত্রাস এবং সহিংস জঙ্গিবাদের শিকার। আমার পিতা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন ভাই এবং অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি নিজেও কমপক্ষে ১৯ বার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে বিশ্ব ফোরামে শেখ হাসিনা বলেন, আমার সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংস জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের রিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত রয়েছে, সেসব চরমপন্থী ও স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় তার সরকার সদা-তৎপর।
বাংলায় দেওয়া ভাষণের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ‘শুধু জাতিসংঘ নয়, সামগ্রিক অর্থে সারাবিশ্বের জন্য এ বছরটি আমূল পরিবর্তনের’ উল্লেখ করেন।
জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর।
ওইদিন থেকেই বিশ্ব নেতারা এর মূল বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। চতূর্থ দিনের ১১তম বক্তা হিসেবে নিজের ভাষণ তুলে ধরেন তিনি। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই বক্তৃতা চলবে।