ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী সপ্তাহে লন্ডন সফরে যেতে পারেন। দলের দায়িত্বশীল দুটি সূত্র জানিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর তার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কথা রয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরের দিনক্ষণ নিয়ে গত মাসে ব্যাপক ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১১, ১২ ও ১৩ আগস্টের যেকোনো দিন চোখের চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডন যাবেন। ওই সময় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকের কাছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর চোখের চিকিৎসার কথা জানিয়ে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এবার অবশ্য সে ধরনের কোনো আবেদন করা হয়নি।
যদিও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য আছে। খালেদা জিয়া এ মামলার অন্যতম আসামি। তাঁর উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বৃহস্পতিবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিত থাকা জরুরি নয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘চিকিৎসার জন্য’ দীর্ঘ সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাই খালেদা জিয়ার সম্ভাব্য লন্ডন সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কৌতূহল আছে। কারণ, দীর্ঘদিন পর সেখানে মা-ছেলের দেখা হবে এবং বিএনপির পুনর্গঠনসহ নানা বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হতে পারে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এটা বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সফর। তিনি সেখানে চোখের চিকিৎসা করাবেন। তারেক রহমানও সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের সঙ্গেও সময় কাটাবেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই রাজনৈতিক নেতা। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বিএনপির সূত্র জানায়, লন্ডন গেলে ঈদুল আজহার আগেই খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা। কারণ, ঈদের দিন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বুকিং দেওয়া হয়েছে। -প্রথম আলো