ওয়ালটন ফ্রিজের কমেপ্রসারে ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি

0

ঢাকা : ফ্রিজের কমেপ্রসারের জন্য ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির ঘোষণা দিল ওয়ালটন। আগে এর গ্যারান্টি ছিল ৫ বছরের। এখন থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহারকারীরা কমেপ্রসারের ক্ষেত্রে বাড়তি তিন বছরের গ্যারান্টি সুবিধা পাচ্ছেন। কমেপ্রসারের মান উন্নত বা অ্যাকুরেসি পারফেকশন আরো নিখুঁত হওয়ায় ক্রেতাদের এ বাড়তি সুবিধা  দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন।

ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, কমেপ্রসারের বড় ধরনের সমস্যা হলে রিপ্লেসমেন্ট বা নতুন কমেপ্রসার লাগাতে হয়। কিন্তু ওয়ালটনের ক্ষেত্রে সাধারণত এ ধরনের সমস্যা হয় না। অন্য যেসব সমস্যা হয়, তা স্বল্প সময়ে ঠিক করে দেওয়া হয় ওয়ালটনের সার্ভিস পয়েন্টগুলো থেকে। এর সংখ্যাও অতি নগণ্য। নিশ্চিন্তে একজন গ্রাহক ওয়ালটন ফ্রিজ ১০ থেকে ১৫ বছর ব্যবহার করতে পারেন।

সাধারণভাবে গ্রাহকরা মনে করেন, রেফ্রিজারেটরের প্রাণ হচ্ছে এর কমেপ্রসার। কমেপ্রসার ঠিকমতো কাজ করলে গ্রাহকরা কাঙ্‌ক্িষত সেবা পেয়ে থাকেন। বেশি লাভের আশায় অনেকেই ফ্রিজে নিম্নমানের কমেপ্রসার ব্যবহার করে থাকেন। আর নিম্নমানের ফ্রিজ কিনে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহকদের। ওয়ালটন ফ্রিজে অতি উচ্চমানের কমেপ্রসার ব্যবহার করায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট। কমেপ্রসারে ৫ বছরের জন্য গ্যারান্টিও ছিল। নিয়মিত গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উৎকষের্র ফলে ওয়ালটন ফ্রিজের কমেপ্রসারের মান আরো উন্নত করা হয়েছে। ফলে গ্রাহক সুবিধা এবং সন্তুষ্টি বাড়াতে কমেপ্রসারের গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়ল।

ওয়ালটনের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ জানান, ওয়ালটনের কমেপ্রসার ওই ৮ বছরের গ্যারান্টি  মেয়াদের চেয়ে আরো অনেক বেশিদিন নির্বিঘ্‌েন ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারবিধি সঠিকভাবে মেনে চললে ২০ থেকে ৩০ বছরেও ওয়ালটনের কমেপ্রসারে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি আরো বলেন, কমেপ্রসারের সিস্টেম যত নিখুঁত এবং সূক্ষ্ম (অ্যাকুইরেট) হবে, এটা তত ভালো সার্ভিস দেবে। কমেপ্রসারের অ্যাকুইরেসি এবং কুলিং সিস্টেমে আরো বেশি পারফেকশন নিয়ে এসেছে ওয়ালটন।

ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. মঈনুল হক জানান, তাদের সব মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে ব্যবহৃত কমেপ্রসারগুলো তৈরি হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত কাঁচামালের সমন্বয়ে। তা ছাড়া এই বিভাগের একদল মেধাবী, প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে কমেপ্রসারের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের আবহাওয়া, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের ধরন বিবেচনায় নিয়ে মানোন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজে ব্যবহৃত কমেপ্রসারের দীর্ঘস্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, ওয়ালটনের কমেপ্রসার নিয়ে আরো ব্যাপকভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম চলছে। বর্তমান ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক প্রকৌশলী ইউরোপে রয়েছেন কমেপ্রসার-বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাজে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এশিয়ার সর্বোচ্চ মানের কমেপ্রসার তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়ালটন। সে ক্ষেত্রে কমেপ্রসারের গ্যারান্টির সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।

ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী শাহরিয়ার রেজা জানান, ফ্রিজ হ্যান্ডলিং বা পরিবহন ও স্থানান্তরে সাবধানতা অবলম্বন করলে দীর্ঘদিনেও ওয়ালটন কমেপ্রসারের সমস্যা হয় না। ন্যূনতম ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত কাত করা চলে ফ্রিজ। বিশেষ করে ফ্রিজের মাথার দিকটা ওপরে রেখেই পরিবহন করা উচিত। কখনো শুইয়ে বা ওপরের দিক নিচে রেখে ফ্রিজ পরিবহন করা হলে কমেপ্রসারের সিস্টেমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবহনের অন্তত দুই ঘণ্টা পর ফ্রিজ চালু করা উচিত।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',