ইংল্যান্ড সিরিজই মিসবাহর শেষ!

0

স্পোর্টস ডেস্ক, ৩ অক্টোবর : পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ উল হক শুক্রবার জানিয়েছেন, আসন্ন পাকিস্তান- ইংল্যান্ড সিরিজের পরই অবসরের কথা ভাবছেন তিনি। মাথা উঁচু করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

৪১ বছর বয়সী এ অধিনায়ক বলেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজই হতে পারে আমার ‘শেষ’।

লাহোরে অনুশীলন ক্যাম্পের পাশে সাংবাদিকদের মিসবাহ বলেন, ‘আমি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’
তিনি বলেন ‘ভাল স্মৃতি নিয়েই’ তিনি টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন।

মিসবাহ বলেন, ‘জনগণ আপনার শেষ পারফরমেন্সটাকেই স্মরণে রাখবে।’

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারীর পর সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ এবং মোহাম্মদ আমেরের পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার পর টালমাটাল অবস্থায় পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের পর অবসর নেবেন বলে গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন মিসবাহ। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে চিরপ্রতিদ্বন্দি দেশ দুটোর মধ্যে ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে প্রস্তাবিত এ সিরিজ নিয়ে যথেস্ট সন্দেহ রয়েছে।

চলতি মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ্যাশেজ জয়ী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ১৩ অক্টোবর আবু ধাবিতে প্রথম টেস্ট শুরু হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন হবে বলে সতর্ক করেন মিসবাহ।

তিনি বলেন, ‘এই ইংল্যান্ড দলটি এ্যাশেজ সিরিজে ভাল করেছে। কিন্তু আমিরাতের মাটিতে তাদের অভিজ্ঞতা নেই এবং এটাই হবে তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিন বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে তার অধিনায়কত্বেই ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হায়াইটওয়াশ করেছিল। এবার তেমনটা সম্ভাবনার কতা অস্বীকার করেন তিনি।
মিসবাহ বলেন, ‘আমাদেরকে ম্যাচ বাই ম্যাচ, সেশন বাই সেশন নিতে হবে এবং একবার আপনি সেশনগুলোতে জয়ী হতে পারলে আপনি বড় লক্ষ্যের দিকে এগুতে পারবেন।
‘আমরা ৩-০ ব্যবধানের কথা ভাবছিনা, ইংল্যান্ড একটি বড় দল এবং আমাদের ভাল খেলতে হবে ও কিভাবে তাদেরকে সামলানো যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’

২০১২ সালে জিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ২৪ উইকেট শিকারি সাঈদ আজমলের অভাব পাকিস্তান অনুভব করবে কিনা জানতে চাইলে মিসবাহ বলেন, তার পরিবর্তে আমাদের দলে ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবর আছে।

মিসবাহ বলেন, ‘শাহ এবং বাবর ধারণার চেয়েও ভাল করছেন এবং এটা একটি বাড়তি পাওনা। অতএব তারা অন্য কারো অনুপস্থিতি আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে।’
বোলিং এ্যাকশন শুধরানোর পর মোটেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে না পারায় আজমলকে দল থেকে বাদ দেয় পাকিস্তান।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',