স্পোর্টস ডেস্ক, ১৪ অক্টোবর : পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন শোয়েব মালিক। ২৪৫ রান করে আউট হন তিনি। পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ৫২৩ রান করে তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন। প্রমম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনের খেলা চলছে।
প্রায় ৫ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখলেন শোয়েব মালিক।
আবুধাবীর শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছে পাকিস্তানীরা। দিনশেষে প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান। শোয়েব মালিক অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ১২৪ রানে। আর তার সঙ্গী আসাদ শফিক অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে।
বুধবার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটিকেই ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন ৫ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মালিক। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ার তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ইনিংসের ১৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মালিক। ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের করা বলটিকে গালিতে স্টিয়ার করে দুই রান নিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। এ জন্য ৩৬৭ বল খেলতে হয়েছে তাকে।
শুধু ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হওয়া নয়, এই ইনিংসটির বদৌলতে অনেকগুলো রেকর্ডেরও মালিক হয়েছেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের পক্ষে আবুধাবীর মাঠে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত টেস্ট ইনিংসের তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন দ্বিতীয়স্থানে। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কোনো মাঠে পাকিস্তানের তিন নম্বরে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মালিকের ইনিংসটি তৃতীয় সেরা। এই তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয়স্থানটি দখলে রয়েছে দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জহির আব্বাসের।
আসাদ শফিককে সঙ্গে নিয়ে আবুধাবীর মাঠে যে কোনো দলের ক্ষেত্রে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন শোয়েব মালিক। আগের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের করা ১৩৮ রান।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন শোয়েব মালিক। এরপর ৫ বছর তাকে আর স্কোয়াডে নেননি নির্বাচকরা। দীর্ঘদিন পর ফের সাদা পোশাকে ক্রিকেট খেলতে নেমে ৩৪ বছর বয়সী মালিক ডাবল সেঞ্চুরিতে যেন নির্বাচকদের বুঝিয়ে দিলেন তিনি উপেক্ষিত হওয়ার মতো খেলোয়াড় নন।