ঢাকা : হোসেনী দালানে বোমা হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন দাবি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষাণ্বিত, তারা এই ধরনের ঘটনায় মদদ দিতে পারে। সেই শক্তি কারা? এটা দেশবাসী জানে, বিএনপি-জামায়াত। রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে শনিবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন। হানিফ বলেন, যারা এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে প্রগতিশীল মানুষের উপর ইতোপূর্বে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা একাধিকবার হামলা করেছে। এ নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। সরকারকে বিব্রত করার জন্য সম্প্রতিক সময়ে বিদেশীসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল তারাই দেশের পাশাপাশি বিদেশী নাগরিক হত্যা করে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করছে। এ ধরনের ঘটনা দমনে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা। ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত, কালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ৭টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত। রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।