ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করতে লেখক-প্রকাশকদের গুপ্তহত্যা করা হচ্ছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশকে অস্থীতিশীল করার জন্য গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে, তাদের খ্ুঁজে বের করা হবে। এদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার জন্যই, এ গুপ্ত হত্যা। তাদেরকে বাঁচানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র। এই গুপ্ত হত্যার পেছনের মুরুব্বি ও বড় ভাইকে বের করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করা শুরু করে, তখনই একজনের মনে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। আপনারা জানেন কে তিনি।
খালেদা জিয়াকে হত্যাকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা মানুষ মেরে, বাস পুড়িয়ে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তিনি এখন বিদেশে বসে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। গুপ্ত হত্যায় নেমেছেন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। দেশের মানুষের শান্তি নষ্ট করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গীদের কোনো স্থান হবে না। সন্ত্রাসের কোনো স্থান হবে না। গুপ্ত হত্যা চালিয়ে এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি থামিয়ে রাখা যাবে না।
এর আগে, রবিবার দুপুর ১টা থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে উদ্যানে উপস্থিত হতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে বক্তৃতা দেন।
এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেন্দ্রিক জনসভা হওয়ায় এর আশপাশের সকল রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।