ঢাকা, ৯ অক্টোবর : আইনজীবীদের পর এবার পরিবারের সদস্যরা ফাঁসির আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের সাজার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার জন্য আর এক সপ্তাহ সময় রয়েছেন যুদ্ধাপরাধী এই জামায়াত নেতার হাতে।
তার আইনজীবী শিশির মনির জানান, আলী আহমেদ মাবরুবসহ মুজাহিদের তিন ছেলে, এক মেয়ে এবং স্ত্রী শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ এ কারা ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
আপিল বিভাগ গত ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করলে পরদিন দুই আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ওই দিনই করা কর্তৃপক্ষ সাকা ও মুজাহিদকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনায়, শুরু হয় রায় পুসর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের দিন গণনা।
৬৭ বছর বয়সী মুজাহিদ নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ আবেদন করার জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন। রিভিউ নিষ্পত্তির আগে তার দণ্ড কার্যকর করা যাবে না।
কাশিমপুর কারাগারে অবস্থানরত ৬৬ বছর বয়সী সাকা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ও সময় প্রযোজ্য হবে। দুজনই ইতোমধ্যে রিভিউ আবেদন করার কথা আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন।
রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে সেই রায়ের অনুলিপি কারাগারে পাঠানো হবে এবং কারা কর্তৃপক্ষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করবে।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত ২ অক্টোবর মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেন তার পাঁচ আইনজীবী। আর সাকা চৌধুরীর আইনজীবী কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন ৬ অক্টোবর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোমধ্যে বলেছেন, আইন অনুযায়ী যেভাবে অগ্রসর হওয়ার কথা, আমরা সেভাবেই অগ্রসর হব।