ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর : সৌদি আরবের মিনায় গত বৃহস্পতিবার পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশী হাজির মৃত্যু হয়েছে। এছা্ড়া একশ’ বাংলাদেশী হাজি নিখোঁজ আছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস শুধু ৯৮ জন হাজি নিখোঁজ আছেন বলে নিশ্চিত করেছে।
নিখোঁজ হাজিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে। দূতাবাসের হজ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরই বিভিন্ন উৎস, হটলাইনে করা ফোন ও পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯৮ জনের এ তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে জামালপুরের ফিরোজা খানমের মৃত্যুর ব্যাপারে তার পরিবার নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া আরও আটজন হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে। এরা হলেন- সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা, মুন্সিগঞ্জের জাহানারা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা, দিনাজপুরের কুরমত আলী, ফেনীর তাহেরা বেগম ও নুরনবী, শরিয়তপুরের রাজ্জাক ও হাসিনা আক্তার।
দূতাবাস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত হতাহতের তালিকায় কত জন বাংলাদেশী আছেন সে ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিখোঁজ হাজিদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে সব নিহত ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করবে।
এদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত কোনো হাজির পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে লাশ শনাক্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সর্বষেষ খবরে জানা গেছে মিনা দুর্ঘটনায় ৭৬৯ জন মারা গেছেন ও ৪৩৯ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ঘটনার দুদিন পরও নিহত হাজিদের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাদের স্বজনরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের স্বজনদের অবস্থা জানার চেষ্টা করছেন। এবছর বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক ব্যক্তি হজ করতে গেছেন।