ঢাকা, ৯ অক্টোবর : সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হাজির সংখ্যা অন্তত ১২৬৪ জনে পৌঁছেছে। বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন’র অনলাইনে এক প্রতিবেদনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে এই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা ৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাহার। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিদিনই একাধিক মৃত্যুর খবর আসছে। এখনো কয়েকজন বাংলাদেশি হাজি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন।
এপি ১৭টি দেশের সরকারি সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য তুলে ধরে নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। তবে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মিনায় দুর্ঘটনায় তাদের হিসেবে নিহতের সংখ্যা ৭৬৯ এবং আহতের সংখ্যা ৯৩৪ জন। এর আগে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নিহতের সংখ্যা নতুন করে পাওয়া গেলেই জানানো হবে। কিন্তু ২৬ সেপ্টেম্বরের পর এখন পর্যন্ত আর কোনো নিহতের সংখ্যা জানায়নি সরকার। ইরান বলছে, হজের ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে সৌদি সরকার। তাদের মতে, নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ এর বেশি।
যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেশটি দেখাতে পারেনি। ইন্দোনেশিয়া, ভারত এবং পাকিস্তানের কূটনীতিকরা জানিয়েছে, সৌদ সরকার তাদের নিহত ১১০০ হাজির ছবি দিয়েছে। তবে এর জবাবে সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেখানো ছবির মধ্যে হজে অন্যান্য দুর্ঘটনায় নিহতদের ছবিও রয়েছে। এ বছর হজে ১৮০ টি দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা গেছেন। ইরান জানিয়েছে, তাদের নিহত হাজির সংখ্যা ৪৬৫ জন। পাকিস্তানের ৮৯, ভারতের ৮১, মালির ৭০, নাইজেরিয়ার ৬৪, ক্যামেরনের ৪২, ইথিওপিয়ার ৩১, মরক্কোর ২৭, আলজেরিয়া ২৫, ঘানার ১২, চাদের ১১, কেনিয়ার ৮, সেনেগালের ৫ এবং তুরস্কের ৩ জন হাজি নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ হজ মিশন জানিয়েছে, নিহত কিছু হাজির মরদেহ চিহ্নিত করে তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মক্কাতেই দাফন করা হচ্ছে কনস্যুলেট ও মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। এ বিষয়ে হাবের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বাহার বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা মক্কার হজ মিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত ৬৩ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছি। -ইত্তেফাক