ঢাকা : ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত পেমা চোডেন বলেছেন, ভুটানের বাজারে ওয়ালটন পণ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ থেকে ভুটানের বাজারে আরো বেশি ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হবে। ওয়ালটন পণ্যের প্রতি তাদের ব্যাপক আকর্ষণের কথাও বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত পেমা চোডেন আজ রোববার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এস এম রেজাউল আলম, অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, বাংলাদেশে অবস্থিত ভুটান দূতাবাসের ট্রেড কাউন্সিলর ইয়নটেন জিয়ামশু, ভুটানে ওয়ালটনের পরিবেশক স্টেট ট্রেডিং করপোরেশন অব ভুটান লিমিটেড (এসটিসিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়েশি সেলডেন, বিজনেস ইউনিটের হেড তাশি পেমো এবং লিয়াজোঁ অফিসার সাংগে।
রাষ্ট্রদূত পেমা চোডেন ওয়ালটন কারখানায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ওয়ালটনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোও সবকিছু নিজেরা তৈরি করে না। কিন্তু ওয়ালটন একই কমপ্লেঙে সবকিছু তৈরি করছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে।
পেমা চোডেন বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে আমি অবাক হয়েছি, বিস্ময়কর ধারণা লাভ করেছি। গত এক বছর যাবৎ আমি বাংলাদেশে রয়েছি এবং এখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ওয়ালটনের শক্তিশালী উপস্থিতি লক্ষ করেছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ালটন বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখল করে নিয়েছে, এটি সত্যি বিস্ময়কর ব্যাপার।’
বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশের খুব কাছের বন্ধু, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে যে রকম ওয়ালটন পণ্য জনপ্রিয়, তেমনি ভুটানের বাজারেও ওয়ালটন জনপ্রিয় হতে পারে। আর এ জন্য ভুটানের ব্যবসায়ীরা আরো বেশি ওয়ালটন পণ্য নিতে আগ্রহী। ওয়ালটনের মতো প্রযুক্তিনিভর্র উদ্যোক্তাদের জন্য ভুটানের বাজার উন্মুক্ত। ওয়ালটন চাইলে সেখানে অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট করতে পারে।
এ সময় ভুটানে ওয়ালটনের পরিবেশক স্টেট ট্রেডিং করপোরেশন অব ভুটান লিমিটেডের (এসটিসিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়েশি সেলডেন বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে ওয়ালটনের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখলাম। এর উচ্চমান সম্পর্কে আরো বেশি নিশ্চিত হলাম। আশা করি, শুধু টেলিভিশন নয়, এখন থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ অন্যান্য পণ্যও ব্যাপক পরিমাণে ভুটানের বাজারে প্রবেশ করবে।’
এর আগে রোববার সকালে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেঙে পৌঁছালে অতিথিদের স্বাগত জানান ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা ওয়ালটনের করপোরেট ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর প্রথমে তারা ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার এবং পরে ফ্রিজ ও টেলিভিশনের উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। সূত্র : রাইজিংবিডি