ঢাকা : ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি হাইস্কুল ও কলেজ সংলগ্ন প্রাথমিক শাখায় প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৪০ শতাংশ ‘এলাকা কোটা’ সংরক্ষণ করতে হবে। ২০১৬ সালের ভর্তি নীতিমালায় এই বিধান করা হয়েছে।
সোমবার জারি করা এ নীতিমালা অনুযায়ী কয়েকদিন পর যে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, তাতে ‘এলাকা কোটা’ কার্যকর করতে হবে।
কোনো এলাকার প্রতিষ্ঠানে সেই এলাকার ৪০ ভাগ শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবে। বাকি আসন থাকবে উম্মুক্ত। সেখানে এলাকার এবং এলাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা সমানে প্রতিযোগিতা করে ভর্তি হতে পারবে।
নীতিমালায় এলাকা কোটার ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, স্কুল সংলগ্ন ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ চিহ্নিত করে এলাকা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অবস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা উভয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
স্কুলের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির তারিখে শিক্ষার্থী যে এলাকায় বসবাস করবে সেই এলাকাই তার ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় প্রত্যেক স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া (স্কুল সেবা অঞ্চল) নির্ধারণ করবেন। কোনো এলাকা যাতে বাদ না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করতে হবে।
তবে এরিয়া নির্ধারণ নিয়ে একাধিক স্কুলের মধ্যে জটিলতা দেখা দিলে থানা বা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি সমাধান করবেন। থানা বা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের আদেশে সন্তুষ্ট না হলে জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করা যাবে। তার আদেশই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার কোটা প্রযোজ্য হবে না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে ক্যাচমেন্ট এলাকায় জরিপ করে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর তথ্যের জন্য জরিপ ছাড়াও ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবে।
এতে বলা হয়, একই ক্যাচমেন্ট এলাকার ভর্তি পরীক্ষা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীর বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্ধারণ করবেন।