আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে চোখে লঙ্কার গুঁড়ো চোখে ছুঁড়ে অন্ধ করে, বৃন্দার মুখটা তলোয়ার দিয়ে ফালাফালা করার পরিকল্পনা ছিল। সে ভাবেই প্রস্তুত হয়ে এসেছিল তিন দুষ্কৃতিকারীরা। কিন্তু তাঁর বাঁচার তাগিদ দুষ্কৃতিদের আক্রমণের জোরের থেকে বেশি ছিল। তাই ভয়ানক আহত হয়েও জীবনে ফিরে আসার লড়াই করছেন বৃন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। দীর্ঘদিন ধরেই এক যুবক বৃন্দাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে তিনি কোনও দিনই এ ব্যাপারকে আমল দেননি। রোজকার চলাফেরার সময়, স্কুলে যাওয়ার পথে ওই যুবক ঘুরঘুর করত। রাস্তা আটকে তাঁর সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করত সে। বৃন্দাও পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। একদিন ওই যুবক সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে বৃন্দাকে। তবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানই করেন বৃন্দা। সে ভবিষ্যতে চাকরি করে সংসারের হাল ধরতে চান, বাবা-মায়ের দুঃখ ঘোঁচাতে চান। তাই এ বয়সে বিয়ে-সংসার নিয়ে ভাবার অবকাশ কোথায়!
তবে প্রত্যাখ্যান করার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে তা বোধহয় কল্পনাও করেননি তিনি। গত সপ্তাহে স্কুল থেকে ফেরার পথে হঠাৎ রাস্তা আটকে দাঁড়ায় ওই যুবক এবং তার দুই বন্ধু। শেষ বারের মতো বিয়ের প্রস্তাব ভেবে দেখতে বলে। তবে সে দিনও বৃন্দার উত্তর ‘না’ই ছিল। এর পরই দুষ্কৃতিদের মধ্যে একজন পকেট থেকে এক মুঠো লাল মরিচের গুঁড়ো বার করে ছুঁড়ে দেয় বৃন্দার চোখ লক্ষ্য করে। সেটা বুঝতে পেরে বৃন্দাও চোখ বন্ধ করে দুই হাত তুলে মুখ আড়াল করেন। এর পর তলোয়ার দিয়ে হাতের ওপর পর পর কোপ মারতে থাকে দুষ্কৃতিরা। বৃন্দার চিৎকারে স্থানীয় ছুটে আসার আগে দুই হাত মারাত্মক জখম হয়।
হাতের শিরা কেটে মাংসপেশি পর্যন্ত আলাদা হয়ে যায়। এখনও এই জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সে। চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর হাত দু’টি বাদ দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। তবে চিকিৎসায় খুব দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন বৃন্দা। আরও কয়েকটি অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে জানিয়েছন তাঁর চিকিৎসক টমাস চণ্ডী। তবে শারীরিকের চেয়ে মানসিক ট্রমাই বেশি রয়েছে। সূত্র: এই সময়