ঢাকা : নাশকতার ৩ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের বিষয়ে রুলের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের করা সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচাপতি মো. খসরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে এ সময় নির্ধারণ করেন। এর আগে ৫ নভেম্বর রুলের শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে ফখরুলের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাফিফ রউফ চৌধুরী ও মো. সগির হোসেন লিওন।
ফকরুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ব্যস্ততার কারণে তিনি সময়ের আবেদন করেন। এ কারণে আগমী ১১ নভেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত।’
মো. সগীর হোসেন লিওন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থ। আগামী ২৪ নভেম্বর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি, হাইকোর্ট থেকে তিনি সুবিচার পাবেন।’
এর গত ২১ জুন মির্জা ফখরুল ইসলামকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তিন মামলার জামিন আবেদন হাইকোর্টের জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য বলেছেন আদালত।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে সোমবার (২ নভেম্বর) মির্জা ফখরুলকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ২৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে এই আবেদন করেছেন তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। মির্জা ফখরুলের আত্মসমর্পণের মেয়াদ আরও ৮ সপ্তাহ বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে ওই আবেদনে।
হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে করা তিন মামলায় স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গত ১৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৬ সপ্তাহের জন্য বহাল রাখেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২৪ আগস্ট আত্মসমর্পণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য মির্জা ফখরুলের পক্ষে আবেদন জানানো হয়।
৩১ আগস্ট ওই আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ প্রথম দফায় তার আত্মসমর্পণের মেয়াদ ৬ সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করেন। এর পর দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণের জন্য আরও ৮ সপ্তাহ সময় চেয়ে ফখরুলের আইনজীবীদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি দুই নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেফতার হন মির্জা ফখরুল।