ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানি আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে উভয়পক্ষকে যুক্তিতর্কের লিখিত সারসংক্ষেপ আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ প্রথম দিনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের অংশ পাঠ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে ১ নম্বর অভিযোগের তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। এ ছাড়া নিজামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।
শিশির মনির বলেন, ‘৩ নভেম্বর থেকে যথারীতি এ মামলার পেপারবুক উপস্থাপন শুরু হবে।’
এর আগে বুধবার সকালে আপিল শুনানি পেছাতে আসামিপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে শুনানি শুরুর নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে আপিলের পেপারবুক উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে নিজামীর ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। আটটির মধ্যে বাকি ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার দায়ে তাকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বাকি আট অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তকে ওই সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী।
৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।