ঢাকা : প্রকাশক-লেখক হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে আধাবেলা হরতালের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন মিছিল ও সংহতি সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
মঙ্গলবার দুপুর রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে হরতালের সমর্থনে অবস্থান তুলে নেওয়ার আগে এক সমাবেশে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, লেখক-প্রকাশকের ওপর হামলা-হত্যার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন মিছিল হবে। আর শুক্রবার বিকাল ৩টায় শাহবাগে হবে গণসংহতি সমাবেশ।
ইমরান আরও বলেন, হরতালের কারণে জেএসসি পরীক্ষার সময় পেছানোর জন্য আমি শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণের যে দুর্ভোগ, তার জন্যও দুঃখ প্রকাশ করছি।
এর আগে হরতালের ভোর ৬টা থেকেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর ও টিএসসিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন মঞ্চের কর্মীরা। এ সময় শাহবাগ, কাঁটাবন, টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দফায় দফায় মিছিল চলে। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।
সকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ইমরান বলেন, “এই হরতাল সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য। আজ সারাদেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ হরতাল পালন করছে, যা প্রমাণ করছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।”
প্রতিবাদ সমাবেশ চলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটেও। সেখানে সিপিবি-বাসদের সমাবেশের কারণে পুরানা পল্টনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। হরতাল শেষে ওই পথও খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা (প্রান্তিক) গেইটের সামনে অবস্থান নিলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।