ঢাকা, ৩ অক্টোবর : বাংলাদেশের রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে এক জাপানি নাগরিক নিহত হবার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলছেন, এক সপ্তাহে যে দুটি আক্রমণে দু’জন বিদেশী নাগরিক নিহত হয়েছেন – এই হত্যাকান্ডগুলো একই ধরণের এবং একই উদ্দেশ্যে তা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ বলছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে রংপুরের কাউনিয়ার আলুটারি এলাকায় আনুমানিক ৫০ বছর বয়স্ক জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও গুলিবিদ্ধ হবার পর মৃত্যুবরণ করেন। এর কয়েকদিন আগেই রাজধানী ঢাকার গুলশান এলাকায় একজন ইতালীয় নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
উভয় ক্ষেত্রেই বন্দুকধারীরা অপেক্ষমান একটি মোটরবাইকে করে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ঘটনাগুলো একই ধরণের। উভয় ক্ষেত্রেই পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে, অস্ত্র ছিল পিস্তল। দুটি ঘটনাতেই আক্রমণকারীরা ছিল তিনজন এবং তারা একইভাবে মোটরবাইকে করে পালিয়ে যায়।
“কিছু আলামত আমরা পেয়েছি এবং আসল অপরাধীদেরও আমরা শিগগীরই ধরে ফেলবো।” বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন মি. খান।
তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকদিন পরে আরো খোলাসা করে বলতে পারবো, তবে প্রাথমিকভাবে যেটুকু বুঝতে পারছি – তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং বিদেশীদের কাছে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল বলে তুলে ধরার জন্য এগুলো করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অব্স্থানরত বিদেশীদের তারা আশ্বস্ত করতে চান যে অচিরেই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে। “আগে যেরকম সন্ত্রাস করেছিল সেইরকম একটা প্রয়াস তারা নিচ্ছে – আমরা একে উদ্ঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের ধরে ফেলবো” – বলেন মি. খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনৈতিক এলাকা সহ শহরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, এবং সেখানে তল্লাশী অভিযান চালানো হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশে বিদেশীরা অচিরেই নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন। “যেখানেই বিদেশীরা আছেন সেখানে নিরাপত্তা বাহিণরি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। কোন বিদেশী নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে আমাদের জানালে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো। সূত্র : বিবিসি বাংলা।