ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর : স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মব্যস্ত নগরী রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। এবার সরকারি বন্ধের দিন ঈদ হওয়ায় মাত্র একদিন অতিরিক্ত ছুটি উপভোগ করতে পেরেছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপরও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরে খুশি তারা।
ঈদের তিন দিনের ছুটির সঙ্গে যারা বাড়তি ছুটি নেননি তারা রবিবারই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকেই তারা রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেন। অনেকে রোববার সকালে ঢাকায় ফিরেই হয়েছেন অফিসমুখি। তবে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে অফিস আদালতে উপস্থিতি ছিল অন্য সময়ের চেয়ে অনেক কম। রবিবার যারা অফিস করেছেন তাদেরকে কোলাকুলি আর কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।
ঈদের ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি যারা নিয়েছেন তারাও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে ইট-পাথরের নগরীতে আসতে শুরু করেছেন। সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বাস টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ দেখা গেছে। সামনের কয়েকদিন এ চাপ আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।ঈদের আগে দেশের প্রধান মহাসড়কগুলো ছিল যানজটের দখলে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যাত্রীদের। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের কারণে যাত্রী ভোগান্তি চরমে ওঠে। তবে ফেরার পথে এখনো দুর্ভোগ চোখে পড়েনি।
সদরঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, সদরঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০টি রুটে দেড় শতাধিক লঞ্চ চলাচল করে। শনিবার রাত থেকেই মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। কর্মজীবি মানুষের এ চাপ আরো বাড়বে। কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদের আগের ৫ দিন এবং ঈদ পরবর্তী সাতদিন পর্যন্ত অতিরিক্ত চাপ সামলাতে বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শনিবার থেকেই ঢাকায় আসা যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে।
রবিবার তিন দিনের সরকারি ছুটি শেষ হলেও ঈদের তৃতীয় দিন যানজটের রাজধানী ঢাকা এখনও ফাঁকা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে লাখো মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাজধানীর যানজট একেবারেই হাওয়া। গুরুত্বপূর্ণ রাজপথ ফাঁকা। আর ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে আনন্দে রাজধানীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। ফোকাস বাংলা।