ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন : ক্যামেরনকে সতর্ক করা শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া

0

ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গার্ডিয়ান পত্রিকাকে শেখ হাসিনা বলেন, ব্রিটিশ জঙ্গিরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে ইন্ধন জোগাচ্ছে। জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও।

সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্বলিত প্রতিবেদনটি শেয়ার করছেন। কেউ আবার তার সঙ্গে প্রতিক্রিয়াও জুড়ে দিচ্ছেন। যেমন সাজ্জাদ রাসেল বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে সতর্ক করে দেয়ার খবরটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, এই হচ্ছে শেখ হাসিনা।”

নুরুল ইসলাম হাসিব খবরটি শেয়ারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের একটি অংশ আলাদাভাবে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘পূর্ব লন্ডনে জামাতের শক্ত প্রভাব রয়েছে। এটি সত্য। তারা অর্থ জোগাড় করছে। তারা টাকা পাঠাচ্ছে।”

ক্রিস মুস গার্ডিয়ানের সংবাদটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘জিহাদি রপ্তানির মাধ্যমে ব্রিটেন শুধুমাত্র সিরিয়া আর ইরাককেই নয়, বাংলাদেশকেও অস্থির করছে। এটা বন্ধ হতে হবে।”

জঙ্গিবাদ দমনে ব্রিটেনের কাছে সহায়তা চাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন মো. জামির ওমান। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘…মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন, এই সাত বছরে তো আপনারা জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন বলে আপনারা ক্রেডিট নেন। কথায় কথায় বলেন দেশকে জঙ্গিবাদমুক্ত করেছেন আপনারা। তাহলে কি দাঁড়ায় আপনারা যা বলতেছেন তা মিথ্যা? এখনও কি জঙ্গিবাদ পরিপূর্ণ বাংলাদেশ??? আল্লাহ জানে কখন আবার অ্যামেরিকা আর ব্রিটিশ মিলে চালকবিহীন বিমান দিয়ে বোমা ছোড়ে আমার মাতৃভূমিতে, ক্ষত-বিক্ষত করে আমাদের জীবনকে।”

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। সেই সময় গার্ডিয়ানে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো বলে ফেসবুকে উল্লেখ করেছেন লিটন মাহমুদ। শুধু তাই নয়, প্রায় একই সময়ে ওয়াশিংটন টাইমসে প্রকাশিত এক কলামে সজীব ওয়াজেদ জয় আল-কায়েদার সঙ্গে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একই বিষয়ে নিয়ে মন্তব্য করেছেন জনৈক নুরুন নবী। তিনি লিখেছেন, ‘‘খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় আওয়ামী সরকারে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের কারণে আ: লীগের মধ্যে ক্ষমতা হারানোর একটা ভয় কাজ করে। আর যখনই এই ভয়টা বেশি কাজ করে তখনই বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে উঠে সরকার আর বহির্বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করে দেখ আমাদেরকে ক্ষমতায় না রাখলে জঙ্গিতে সয়লাব হয়ে যাবে সারাদেশ।” নুরুন নবী মনে করেন, এ সব করে হয়ত সরকার সাময়িক সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেই হিসাবও করা দরকার।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',