ডাঙায় হেঁটে বেড়ানো মাছ

0

ডেস্ক : এখন মাছ ধরতে আর বড়শি নিয়ে বসতে হবে না। তার চেয়ে বরং হিমালয়ের উপরে উঠুন, দেখবেন দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে মাছেরা।

অবাক হওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পানি থেকে বেরিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টা নয় বরং টানা চারদিন বেঁচে থাকতে পারে এই মাছেরা। বিজ্ঞানীরা হিমালয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পাওয়া হালকা নীল রঙের এই মাছগুলোর নাম রেখেছেন সর্পমুখী। ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বা ডব্লিউডব্লিউএফ সম্প্রতি এই মাছগুলোর খবর জানিয়েছে।

পরিবেশগত কারণে বিশ্বব্যাপি এখন বিপন্ন অনেক প্রজাতির প্রাণী। সেসবের সন্ধানে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভুটান, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল, উত্তর মায়ানমার, দক্ষিণ তিব্বতের নানান পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই গবেষণা শেষেই তারা বিরল কিছু প্রজাতির কথা শুনিয়েছেন বিশ্ববাসীকে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশেষ এই মাছটির মাথাটা অনেকটা সাপের মতো। তাই নাম দিয়েছেন সর্পমুখী। সর্পমুখী সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে পারে। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়না। পানি থেকে স্থলে এসে তারা জীবন বাঁচাতে পারে সর্বোচ্চ চার দিন। বাতাসে নি:শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে মাটিতে হাঁটতেও পারে এই প্রজাতির মাছ। ভেজা কাদা মাটিতে টুক টুক করে প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত হাঁটতে সক্ষম সর্পমুখী।

বিশ্বের নানান পার্বত্য অঞ্চল চষে, হেঁটে বেড়ানো মাছ তো বটেই, পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন আরো অদ্ভূত সব প্রজাতির প্রাণী। এমন এক প্রজাতির বাঁদরের সন্ধান মিলেছে, যারা কিনা বৃষ্টি পড়লেই এক নাগাড়ে হেঁটে যায়। কারণ তাদের নাক ওপরের দিকে গোঁটানো। পানি ঢুকলেই শুরু হয় হাঁচি। খোঁজ মিলেছে লাল, হলুদ আর কমলা রঙের মিশেলে এক ধরনের বিষাক্ত সাপ, যেটাকে প্রথম দেখলে গয়না ভেবে ভুল হবে। শ্বদন্তওয়ালা মাছ, নীল চোখের ব্যাঙ, সারা গায়ে বুটিঅলা ছোট্ট লাল পাখিও আছে সেই তালিকায়।

বিশ্ব চষে অবশ্য হতাশার কথাই বেশি শুনিয়েছে ডব্লিউডব্লিউএফ, সমীক্ষায় সব মিলিয়ে ১৩৩ রকম নতুন উদ্ভিদ, ২৬ রকমের নতুন প্রজাতির মাছ, ১০ রকমের উভচর, ৩৯ রকমের জলজ জীব খুঁজে পাওয়া গেছে। সেই তুলনায় পাখি, সরীসৃপ আর স্তন্যপায়ী জীবের সংখ্যা খুবই হতাশাজনক। এসব শ্রেণিতে মাত্র একটি করে নতুন প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গেছে। এদের রক্ষার্থে সর্তকবার্তাও জারি করেছে ডব্লিউডব্লিউএফ।

Share.
মন্তব্য লিখুনঃ

 

',