১২৫৬ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সারবন বিশ্ব বিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ধীরে ধীরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি সম্প্রসারিত হয়। অবশেষে এটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রবার্ট সারবন ।
১৭৩৫ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে ফরাসী গণিত ও ভুগোলবিদরা পৃথিবীর সঠিক কাঠামো চিহ্নিত করার জন্য প্রথম গবেষণা কাজ শুরু করেন। এ লক্ষ্যে ফরাসী সরকার বিজ্ঞান একাডেমির ঐ গবষণা কাজের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে। বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে পৃথিবীর বিষুব রেখা ও দুই মেরুর ভেতরের দিকে চেপে থাকার বিষয়টি আবিস্কার করেন।
১৮৮১ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে ভিয়েতনামের দক্ষিণে ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় সংঘটিত হয়। মারাত্মক এ ঝড়ে বহু বাড়িঘর, প্রতিষ্ঠান ও ক্ষেত খামার ধ্বংস হয়। এ ঝড়ে অন্তত প্রায় তিন লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
১৮৮৫ খ্রীস্টাব্দের এই দিনে ফরাসীরা ভিয়েতনামে উপনিবেশ স্থাপন করে। এর আগে ভিয়েতনাম বহুদিন চীনের অন্তর্গত ছিল। আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সংঘাত ও ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী দেশগুলোর সাথে যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে চীন অনেক দুর্বল হয়ে পড়ায় ফ্রান্স চীনের বেশ কিছু অংশ দখল করে নিয়েছিল। এরপর ফ্রান্স ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ভিয়েতনাম দখলের জন্য অভিযান শুরু করে এবং আজকের এই দিনে তারা ভিয়েতনাম দখল করতে সক্ষম হয়।
১৯৯০ সালের এই দিনে দখলদার ইসরাইলী সেনারা আল আকসা মসজিদে নামাজরত ফিলিস্তিনীদের উপর নৃশংস হামলা চালায়। এ হামলায় ২০ জন নিহত এবং আরো বহু ফিলিস্তিনী আহত হয়। ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনী মুসল্লিদেরকে এভাবে হত্যা করায় আবারও ইসরাইল বিরোধী ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে এবং অধিকৃত ফিলিস্তিন অশান্ত হয়ে ওঠে। ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অন্ধ সমর্থন তেলআবিবের নৃশংস কর্মকান্ড প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে।
২০০৫ সালের এই দিনে উত্তর পূর্ব পাকিস্তানে কাশ্মীরের কেন্দ্রীয় শহর মোজাফ্ফারাবাদে সাত দশমিক ছয় রিক্টার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। স্মরণীয় এ ভূমিকম্পে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ নিহত এবং ৩৩ লক্ষ মানুষ আহত হয়েছিল। এ ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক ত্রানকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
হিজরী ১৩২৪ সলের এই দিনে ইরানের প্রথম দৈনিক মজলিস প্রকাশিত হয়। ইরানে সাংবিধানিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা সাইয়্যেদ মোহাম্মদ সাদেক তাবাতাবাঈ এ দৈনিকটি প্রকাশ করেন। সাংবিধানিক বিপ্লব এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয়ার পর পত্রিকার সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ইরানের বিভিন্ন শহরে বহু পত্রিকা বের হয়। সূত্র : আইআরআইবি।