২৮ বছর আগের এই দিনে ফরাশি বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিয়ের ক্যুরি এবং তার ভাই পল ক্যুরি আল্ট্রা-সাউন্ড আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আল্ট্রা-সাউন্ড এমন এক ধরনের শব্দ যে শব্দ মানুষ কানে শুনতে পায় না। কারণ এই শব্দের কম্পনের হার সেকেন্ডে ২০ হাজার বার। পিয়ের ক্যুরি এবং তার ভাই বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পদার্থ বিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে অর্থাৎ এখন থেকে ৬৪ বছর আগে জার্মানীর নাৎসি বাহিনীর বিখ্যাত সেনাকমান্ডার এরউইন রোমেল হিটলারের আদেশে আত্মহত্যা করে। মার্শাল রোমেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে উত্তর আফ্রিকায় জার্মান বাহিনীর কমান্ডার ছিল এবং ব্রিটিশ সেনাদেরকে মিশরের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল। এ বিজয়ের কারণে রোমেলকে ফিল্ড-মার্শাল উপাধিও দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর উত্তর আফ্রিকায় জার্মান বাহিনীর কাছে পর্যাপ্ত যুদ্ধ-সরঞ্জাম না পৌঁছানোর কারণে ব্রিটিশ বাহিনীর উপর্যুপরি হামলা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রোমেলের বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ফিল্ড-মার্শাল রোমেল ১৯৪৪ সালে ইতালী এবং বলকানে জার্মানীর প্রতিরক্ষা কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু হিটলারের সাথে যুদ্ধ-কৌশলের ব্যাপারে রোমেলের মতপার্থক্য ছিল। সে কারণেই হয়তো হিটলার হত্যাপ্রচেষ্টার ব্যর্থতার পর জার্মানীর ডিক্টেটর রোমেলকে সন্দেহ করে। রোমেলের বিরুদ্ধে হিটলার হত্যাপ্রচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সাথে হাত থাকার অভিযোগ আনা হয় এবং শেষ পর্যন্ত হিটলারের আদেশে মার্শাল রোমেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
১৯৫৩ সালের ১৪ অক্টোবরে জর্দান নদীর পশ্চিম উপকূলীয় কাবিহ গ্রামে সশস্ত্র ইহুদিবাদীরা নির্যাতনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই গ্রামে ইহুদিবাদীরা টানা দুইদিন আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনীদের ওপর নির্বিচার গণহত্যা চালায় এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। ইসরাইলী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন ছিল তখনকার সেনা কমান্ডার। তার নেতৃত্বে ইসরাইলী সেনারা তখন মহিলা ও শিশুসহ ৪২ জন নিরীহ ফিলিস্তিনীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে,অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে দেয় এবং একটি মাদ্রাসা বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। এই গণহত্যা ইসরাইলের বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের আরেকটি দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত।
১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব নিকিতা ক্রুশচেভ বহিষ্কৃত হন। ক্রুশ্চেভ ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক দফতরের সদস্য হন। ১৯৫৩ সালে স্টালিনের মৃত্যুর পর তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচে ক্ষমতাবান ব্যক্তিতে পরিনত হন এবং কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব পদ লাভ করেন। তার কিছুকাল পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ক্রুশ্চেভ তার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় সোভিয়েত রাষ্ট্রব্যবস্থার অর্থনীতি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির রক্ষণশীল বহু নেতা তাঁর এই পরিবর্তনকামী পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। যার ফলে ১৯৬৪ সালের এই দিনে ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পদ ও প্রধানমন্ত্রীত্বের পদমর্যাদা থেকে বহিষ্কৃত হন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে নিকিতা ক্রুশ্চেভ মারা যান।
ফার্সি ১৩৬১ সালের ২৩ শে মেহের মোতাবেক ১৪ই অক্টোবরে আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী শহীদ হন। তিনি ছিলেন ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর প্রতিনিধি এবং ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম। আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী মেহরাবে নামাযরত অবস্থায় সন্ত্রাসী মোনাফেকীন গোষ্ঠির হামলায় শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামী বিপ্লবের গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়ায় কেরমানশাহ’র জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি যথার্থ নেতৃত্ব দেন এবং শাহের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হবার জন্যে জনগণকে অনুপ্রাণিত করেন। এই বিপ্লবী ভূমিকার কারণে তিনি বহুবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর আদেশে এই স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম নিযুক্ত হন। অবশেষে ১৪ ই অক্টোবর তারিখে জুমা নামাযের সময় ইসলামের শত্র”দের হাতে ইবাদাতের মেহরাবেই তিনি শহীদ হন।
তানযানিয়ার প্রাচীন নেতা জুলিয়াস কামবারাগে নাইরেরে ১৯৯৯ সালের ১৪ অক্টোবরে মারা যান।১৯২২ সালের ১৩ এপ্রিলে তিনি বুতিয়ামায় জন্মগ্রহণ করেন। নাইরের ১৯৫৫ সালে রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন তাঙ্গানিকা আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন পার্টি বা ( ঞঅঘট ) তাঙ্গানিকায় ক্ষমতাসীন হয়। তাঙ্গানিকা বর্তমান তানযানিয়ার একটি অংশ ছিল। নাইরের ১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রী হন এবং তার এক বছর পর তাঙ্গানিকার প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় তাঙ্গানিকা এবং যানযিবার ১৯৬৪ সালে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং এর ফলেই বর্তমান তানযানিয়া প্রজাতন্ত্রের গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নাইরের ছিলেন তানযানিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তানযানিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি ব্যাপক অবদান রাখেন।
৮৫৬ বছর আগের এইদিনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,মুফাসসির,মুতাকাল্লেম এবং ফকীহ কুতুবুদ্দিন রাভান্দি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন শাখায় বহু বই লিখে গেছেন। তাফসীরে কোরআন,রেসালাতুল ফোকাহা,আয়াতুল আহকাম এবং আসবাবুন নুযুল তাঁর উল্লেখযোগ্য কটি গ্রন্থ। সূত্র : আইআরআইবি