স্পোর্টস ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর : প্রথম চারদিন নিষ্প্রাণ পিচে উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরতে থাকা বোলাররা হঠাৎ করেই যেন জ্বলে ওঠে। প্রথম চারিদনে যেখানে ১৬টি উইকেটের পতন সেখানে শেষ দিনেই সাজঘরে ফেরেন ১৫টি উইকেট। এমন দিনে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই দাঁড়িয়ে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বিধি বাম। আলোকস্বল্পতার কারণে টেস্টকে ড্র ঘোষণা করে আম্পায়াররা।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৫২৩ রানের বিশাল রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৯৮ রানের ইনিংস ঘোষণা করে ৭৫ রানে এগিয়ে থেকে পাকিস্তানকে আবারো ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ইংলিশরা। বোলারদের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে মাত্র ১৭৩ রানেই প্রতিপক্ষকে আটকে ফেলে জয়ের জন্য ২১ ওভারে ৯৯ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
জয়ের জন্য বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল রুটরা। কিন্তু আলোকস্বল্পতার কারণে নির্ধারিত ওভার খেলা হওয়ার আগেই খেলা শেষ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। ১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৪ রান তুলে ফেলা ইংল্যান্ড আফসোস করতেই পারে। ২৯ বলে ৩৩ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন জো রুট। অপর প্রান্তে ব্যাট করা ইয়ান বেল ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে জুলফিকার বাবর ও শোয়েব মালিক নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ৭৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। ইংলিশ বোলারদের দাপটে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৫৭.৫ ওভারে সবকটি ১৭৩ রান তুলতে পারে। সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে মিসবাহ উল হকের ব্যাট থেকে।
এছাড়া ইউনিস খান ৪৫ ও মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৩৪ রান। বল হাতে জ্বলে ওঠেন প্রথম ইনিংসে একেবারেই বিবর্ণ থাকা অভিষিক্ত আদিল রশিদ। রশিদের বিষে নীল হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। ৬৪ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। এছাড়া মঈন আলী ও জেমস অ্যান্ডারসনের শিকার ২টি করে উইকেট।
আবু ধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করা পাকিস্তান শোয়েব মালিকের ২৪৫ ও আসাদ শফিকের ১০৭ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে ৫২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে অ্যালাস্টার কুকের দানবীয় ২৬৩ রানের ইনিংসে ৯ উইকেটে ৫৯৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।