ঢাকা : আজ সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করবে গণজাগরণ মঞ্চ। জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা ও শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদ রশীদ টুটুল, কবি তারেক রহিম ও ব্লগার রণদীপম বসুকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করতে না পারায় হরতালের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
সোমবার সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে শাহবাগে একটি মশাল মিছিল করেন মঞ্চের কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে কাঁটাবন, নীলক্ষেত, টিএসসি হয়ে পুনরায় শাহবাগে এসে শেষ হয়। মিছিলে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের সদস্যরাও অংশ নেন। এ সময় ইমরান এইচ সরকার জেলহত্যা দিবসকে প্রতিবাদের হরতালের মাধ্যমে পালনের আহ্বান জানান।
ইমরান বলেন, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক থেকে শুরু করে যারাই উগ্রবাদী চিন্তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, তাদেরই হত্যা করা হচ্ছে। এজন্য দু’দিন ধরে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছি। আগামীকাল (আজ) আমরা সারা দেশে অর্ধবেলা হরতালের ডাক দিয়েছি। আশা করছি কোনোরকম বিশৃংখলা ছাড়াই সারা দেশে এ কর্মসূচি পালিত হবে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি।
জেলহত্যা দিবসের প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ৩ নভেম্বর জাতীয় জেলহত্যা দিবস। এ দিবস কোনো উৎসবের দিন নয়। তাই উৎসবের মাধ্যমে নয়, প্রতিবাদের হরতাল পালনের মধ্য দিয়েই জেলহত্যা দিবস পালন করুন। মঞ্চের এই মুখপাত্র জানান, চিকিৎসাসহ যেসব জরুরি সার্ভিস রয়েছে, সেসব হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।
চট্টগ্রামে মশাল মিছিল : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, আজকের হরতালের সমর্থনে সোমবার মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ। সন্ধ্যায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়। মিছিলে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক, শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও পেশাজীবীরা অংশ নেন। মশাল মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার হয়ে নিউমার্কেট চত্বরে এসে শেষ হয়।
শাবিতে প্রতিবাদী মিছিলে : সিলেট ব্যুরো জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়ে এক প্রতিবাদী আলোক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ‘বিক্ষুব্ধ শাবি পরিবার’ এর ব্যানারে শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথ উদ্যোগে এ আলোক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ প্রগতিশীল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবন থেকে এ আলোক পদযাত্রা শুরু হয়ে গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে চেতনা একাত্তরের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শেষ হয়।