স্পোর্টস ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বর ‘পরীক্ষার’ বার্তা নিয়েই দেশে ছেড়েছিলেন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর চারদিকে আলোচনা শুরু হয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কি মুমিনুলকে অধিনায়ক করা হয়েছে। বিসিবি থেকেও বার্তা আসে, মুমিনুলকে পরখ করে দেখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। মুমিনুল কিন্তু পরীক্ষার প্রথম দিনে হেরেছেন। ভারতের ‘এ’ দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের পরাজয় বরণ করেছেন। আজ তার অগ্নিপরীক্ষা। সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
মুমিনুল প্রথম দিন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হল টস জিতে ফিল্ডিং নেয়া। তবু শুরুটা ভালো করেছিলেন বোলাররা। ৭৬ রানের মধ্যে উপরের চার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তারা। কিন্তু ম্যাচ বের করে নেন সনজু স্যামসন, গুরকিরাত সিং ও ঋষি ধাওয়ান। এই তিন জনই হাফ-সেঞ্চুরি পান। ফলে প্রথম ২৫.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত যেখানে ১২৫ রান করেছিলো, সেখানে শেষ ২৪.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান পেয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ভারতের রান গিয়ে দাঁড়ালো ৭ উইকেটে ৩২২। স্যামসন ৭৩, গুরকিরাত ৬৫ ও ধাওয়ান ৫৬ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল ও নাসির ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ৩২৩ রানের বড় লক্ষ্যের পিছনে ছুটতে গিয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ৮৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের পথটাও পরিষ্কার করে ফেলে তারা। রনি তালুকদার ১৩, সৌম্য সরকার ৯, আনামুল হক ০, মুমিনুল হক ১৯ ও সাব্বির রহমান ২৫ রান করেন।
ম্যাচ হারের পথটা পরিষ্কার হবার পরও দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন লিটন দাস ও নাসির হোসেন। ষষ্ট উইকেটে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের স্কোরে ১২০ রান যোগ করেন লিটন ও নাসির। এরমধ্যে দু’জনই পান হাফ-সেঞ্চুরি। তবে ২১৯ রানের মধ্যে লিটন ও নাসিরের বিদায়ে বাংলাদেশের ম্যাচ হার নিশ্চিত হয়ে যায়। লিটন ৭৫ বলে ৭৫ ও নাসির ৭১ বলে ৫২ রান করেন। আর বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২২৬ রানে।
সিরিজ বাঁচাতে হলে কাল মুমিনুলকে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে। সেটা না পারলে মুমিনুল পরীক্ষায় ব্যর্থ হবেন। সেই ব্যর্থতা একটা সমালোচনা উসকে দিবে- ‘এ’ দলের নামে জাতীয় দল পাঠিয়েও হারলো বাংলাদেশ!
১৫ সদস্যের বাংলাদেশ ‘এ’ দল : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নাসির হোসেন (সহ-অধিনায়ক) এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান রুম্মান, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন লিখন, রনি তালুকদার, সাকলাইন সজিব, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন ও শুভাগত হোম চৌধুরী।